সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পোষাক তৈরীতে বোতাম, জিপার, লেবেলসহ অ্যাক্সেসরিজ আমদানি বন্ধ। পোষাক তৈরিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও বিক্রি করতে পারছে না দাম বাড়িয়ে। লোকসান নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তিত নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারী মালিকরা। তারা জানান, পোষাক তৈরীতে ৮৫ভাগ কাঁচামাল আসতো দেশের বাহির থেকে। কিন্তু বর্তমানে পেক্ষাপটে কাঁচামাল সংকটে পরেছে তারা। করোনার প্রভাবে উন্নতি না হলে বিপাকে পড়বে ক্ষুদ্র পোশাক শিল্প।
কাশিপুর এলাকায় ৫০জন শ্রমিক নিয়ে ঘড়ে উঠেছে ছোট্ট একটি কারখানা। কারখানার মালিক জানান, আমাদের তৈরিকৃত পোষাক স্থানীয় সহ রাজধানীর লোকাল মার্কেটগুলোতে দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদে এবার তেমন বিক্রি হয়নি। এখন লোকসানে ক্রেতাদেরকে পোশাক দিতে বাধ্য হয়েছি শুধুমাত্র শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য। তার উপর বর্তমানে কাঁচামাল সংকট। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কারখানাই বন্ধ করে দিবে হবে বলে আশঙ্কা তার৷
তিনি আরও জানান, তৈরি পোশাকের ৮০ ভাগ ফেব্রিক আসতো দেশের বাহির থেকে। বর্তমানে সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমরা স্থানীয় বাজার এবং কিছু বিকল্প সোর্স থেকে উচ্চমূল্যে কাপড় সংগ্রহ করছি। তাতে তো আমাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।
এ বিষয়ে হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল জানান, বর্তমানে হোসিয়ারী মালিকরা ভলো নেই। আমাদের অ্যাক্সসরিজ আসতো চায়না থেকে কিন্তু বর্তমানে না আসার কারনে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। আর হোশিয়ারীতে তৈরিকৃত পোষাকগুলা দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি হয়, যার কারনে টাকা বাকি পড়ে থাকে। আর বাকি টাকা গুলো উঠে আসতো বৈশাখের উৎসব ও ঈদ উৎসব কিন্তু এবার আর বাকি টাকা উঠানো যায়নি, যার কারনে ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুব খারাপ। একজন হোশিয়ারী শ্রমিক তার মেধা দিয়ে মালিক হতে পারে। আবার কোন দূর্যোগ আসলে সে মালিক থেকে আবারও শ্রমিক হতে বেশি সময় লাগে না।
তিনি সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে বলেন, দেশের বাহিরে যেসকল প্রতিষ্ঠান তৈরিকৃত পোষাক রপ্তানি করে তাদের সরকার প্রণদনার ব্যবস্থা করেছে। আমরা আশা করছি আমাদের জন্য সরকার কোন ঘোষনা দিবেন। এবং একজন ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। বর্তমানে অবস্থা খারাপ হবার কারনে আমাদের লোনের সময় সীমা যেনো বাড়িয়ে দেয় সেটারও আবেদন জানাচ্ছি।